সরস্বতীর আরাধণা ও জাত পাত
পশ্চিম বঙ্গে বলা হয় এখানে কোন জাত-পাত নেই।
যেমন এক সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ওখানে কোন O.B.C. নেই। তখন কেন্দ্রীয় সরকার survey করে report পেশ করলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থুথু
গিলতে বাধ্য হন।
এবার আসি
আসল ঘটনায়। আমার এক নিকট আত্মীয় বহরমপুর-এ শিক্ষকতা করে। গতবছর সরস্বতী পূজার সময়
পূজার ভোগের প্রসাদ স্কুলেই রান্না হওয়ার পর কড়াই নামাতে গিয়ে আমার আত্মীয়কে সাহায্য করতে বলেন
একজন শিক্ষিকা। তখন পাশের অন্য শিক্ষিকা
আমার আত্মীয়কে ঐ কড়াই ছুতে বারন করে। অশান্তি না বাড়িয়ে অপমাণিত হয়ে আমার
আত্মীয় ওখান থেকে চলে আসে।
এবার স্কুলে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে যখন মিটিং
হয়, তখন আবেদন করা হয় সকলকে সাথ-সহযোগীতা করার জন্য। তখন আমার আত্মীয় জানায়
গতবছরের ঘটনা। তখন তাকে বলা হয় ওটা নিয়ম। অর্থাৎ নিচু জাতির কেউ ভোগের প্রসাদ ছুতে
পারবে না। এই কথায় প্রতিবাদ করে আমার আত্মীয়। সঙ্গে অন্য কয়েক জন নিচু জাতির
শিক্ষকও সাথ দেন। তবে ওই নিয়ম পরিবর্তিত হয়নি।
আসলে
আমাদের লোকেরা বা কিছু লোকেরা যতই ভাবুন না কেন যে, জাত-পাত উঠে গেছে। সেটা শুধু
বাইরে বাইরে। বাস্তবে এটা কোনদিন উঠবার নয়। তা না হলে গলার ধড়া গাছা কাকে দেখাবে
ধড়াধারীরা? উঁচু জাতের বড়াই কার সামনে করবে? আর একটা কথা তথাকথিত নিচু জাতিরও যে,
কবে মান-স্বাভিমান জাগ্রত হবে বুঝিনা।
কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোন ধর্মীয়
অনুষ্ঠান পালন করা কি করে সম্ভব ? কারণ
সেখানে তো একাধিক ধর্মীয় লোক থাকেন। কিন্তু এটাতো ভারতবর্ষ যাকে এরা হিন্দুস্থান
বলে। তাই এখানে দূর্নীতিটাকেই এরা নীতি বানিয়ে ছেড়েছে। সেই পূরাণো কথাই বলতে হয়-
সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!
0 comments:
Post a Comment