Monday 15 February 2016

// // Leave a Comment

मैं रोहित बोल रहा हूँ।

रोहित वेमुला के  बलिदान को  क्रान्तिकारी सलाम
मैं रोहित बोल रहा हूँ।
roy.1472@gmail.com

हा, मैं रोहित बोल रहा  हूँ।
आपने ठीक पहचाना, क्यों के में आज कल लोगो के लिए
चर्चा का  विषय जो बन गया हूँ;
हर गावँ मे, हर गली मे, हर शहर मे।   
में एक जन- सैलाब, जन-आन्दोलन, आक्रोश,
 और एक प्रतिरोध बन कर उभर आया हूँ। 
जी.. मैं रोहित वेमुला ही बोल रहा हूँ।

प्राकृतिक नियम से तो  मेरा शरीर पंचतत्वो मे विलिन  हुआ हें
लेकिन, मेरी मृत्यु होने से पहले ही इस व्यवस्था ने
 मेरे  जीने के अधिकार को ही मार डाला
इसलिए दोस्तो मेरा मरना जरूरी हो गया था
लेकिन हा..मेरा यह बलिदान तो आपको जागृत करके 
अन्याय के खिलाफ लड़ने के लिए हें
इस बलिदान ने आपके मन मे,
 हक-अधिकार की जो चिंगारी जलायी हें,
उस चिंगारी को ज्वालामुखी बनाकर
 सामाजिक भेदभाव को भस्म करना होगा ।
इसलिए आजही आपको  संकल्प की शपथ लेनी होगी।

हा, मैं रोहित बोल रहा  हूँ।
हम लोग और कितने दिन तक सोते रहेंगे?
और कितने दिन तक पिसते रहेंगे इस ब्राम्हण्यवाद की चक्की में।
आप लोगो को निंद से जगाने के लिए
 मैंने मेरे शरीर को अंतिम निंद में सुला दिया।
यह बलिदान केवल रोहित वेमुला का बलिदान नही है।
लाखोकरोड़ो वंचित और शोषित के बिरोध में,
गुलामी के खिलाफ प्रतिबाद की आग जलाने का एक बारुद हें।

हा, मैं रोहित बोल रहा  हूँ।
क्या सारे भेदभाव तोड़ कर, जाति-व्यवस्था को गाड़कर,
अन्याय के खिलाफ लड़कर,
शोषित और वंचितो को इक्कट्ठा कर पाओगे?
 समता-स्वतंत्रताबन्धुता और न्याय पर आधारित
 भारत का निर्माण करने के लिए,
समाज के सठिक नेतृत्व का निर्माण कर पाओगे?
जिस दिन आप ये कर पाओगे,
उस दिन हजारो रोहित निंद से जागेंगे।  
लाखो रोहित आन्दोलन में उतरेंगे।  
करोड़ो रोहित आझादी का गीत गायेंगे।   
तब खुल जायेगा मुश्किल का दरवाज़ा
अंधेरे को चीरकर आयेगा परिवर्तन का सबेरा
यही उम्मीद आप को कर रहा हूँ 
हा, मैं रोहित बोल रहा  हूँ।
हा, मैं रोहित बोल रहा  हूँ।
_________________

  









Read More

Friday 12 February 2016

// // Leave a Comment

সরস্বতীর মন্ত্র ও নারীর অপমান

সরস্বতীর মন্ত্র ও নারীর অপমান
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
উপরের লাইন দু’টি সরস্বতী পূজার অঞ্জলীর মন্ত্রের প্রথমেই আছে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা ও অন্যান্যরা এই অঞ্জলী খুব ভক্তিভরে গদ গদ হয়ে দেন। আমি উপরের লাইন দু’টির কয়েকটি শব্দের একটু ব্যাখ্যা করছি। তারপরে ভেবে দেখবেন আপনারা কি এই কথা জেনেই অঞ্জলী  দিচ্ছেন? না কি  নাজেনেই ভাবে গদ গদ হয়ে দিচ্ছেন?
প্রথম লাইনে আছে-‘কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে’
‘কুচ’ অর্থ ‘স্তন (breast), যুগ- জুগল বা জোড়া, শোভিত- শোভা বর্ধণ বা সৌন্দর্য্য প্রকাশ।   এখানে দেবী সরস্বতীর অঞ্জলীতে দেবী সরস্বতীর বর্ণনা এই ভাবে করা হয়েছে –সরস্বতী এমন  দেবী যার  স্তন দুটো শোভা বর্ধন করছে মুক্তার হারে। যে দেবী বীনা দ্বারা রঞ্জিত হয়েছে, হাতে পুস্তক আছে। সেই ভগবতী ভারতী দেবী কে নমস্কার করি।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই রকম বন্দনা আপনাদের কাছে কতটা শোভনীয়? আর যদি কোন রকম অশোভনীয় না হয় তাহলে আপনারা কেউ কি পারবেন কোন মহিলার রুপের বর্ননা এই ভাবে করতে? আর যদি করেন তাহলে প্রসাদ স্বরূপ চটি  ও অন্যান্য কিছু উপহার পাবেন কি না?
এটা কি সরস্বতী দেবীর এবং নারীর অপমান নয়? ভেবে দেখুন। নির্ণয় আপনার হাতে।  




Read More

Tuesday 2 February 2016

// // Leave a Comment

আমি রহিত বলছি


রহিত বেমুলার আত্ম বলিদানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কবিতাটিতে ভাষ্য দিয়েছেন - পবিত্র বিশ্বাস।

আমি রহিত বলছি
জগদীশচন্দ্র রায়(মুম্বাই)
M-09969368536

আমি রহিত বলছি
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
প্রকৃতির নিয়মে আমার শরীরের মৃত্যু হয়েছে।  
কিন্তু এর পূর্বে তো আমার বেঁচে থাকার অধিকারের মৃত্যু হয়েছ।
তাই এই মৃত্যুটা ভীষণ জরুরি ছিল।
আমার এই মৃত্যু, তোমাদের জাগানোর জন্য।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য।
আজ আমি তোমাদের মনে যে, অধিকারের অগুন জালাতে পেরেছি,
সে আগুনকে নিরন্তর জালিয়ে রাখতে পারবে তো?
পারবে কি এই বর্ণ বৈষম্যতাকে ধ্বংস করে দিতে?
তার জন্য তোমাদের আজই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে।
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
তোমাদের আর কবে ঘুম ভাঙ্গবে?
আর কতদিন পিষবে ব্রাহ্মণ্যবাদের জাঁতা কলে?
তোমাদের ঘুম ভাঙাতেই  
আমার শরীরটাকে চিরতরে ঘুম পাড়াতে হ’ল।
এই মৃত্যু, শুধু এক রহিতের মৃত্যু নয়।
এ মৃত্যু শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অগ্নি শিখা প্রজ্বলনের বারুদ
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
তোমরা কি পারবে সমস্ত বিভেদকে ছিড়ে-খুঁড়ে ফেলতে?
শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দাবানল হয়ে জলতে?
পারবে কি সঠিক নেতৃত্বের নির্মাণ করতে?
যদি পার, সে দিন হাজার রহিত গাইবে ঘুম ভাঙানোর গান
সেদিন হাজার রহিত খুলে দেবে ঊষার দুয়ার।
পরিবর্তন আনবে এক নিকষ কালো রাত্রির।
_______________
আমি রহিত বলছি (২)
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
তোমরাতো জানো,
এই ব্রাহ্মণ্যবাদই আমাদের হাজার বছর ধরে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল।
আমাদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ছিল।
আর বঞ্চিত করেছিলে অস্ত্রের অধিকার থেকে।
কিন্তু সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত করলেন বুদ্ধ, আম্বেদকর।
তাঁরা আমাদের শেখালেন,
অধিকার কেউ কাউকে দেয়না, অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে হয়।
অধিকেরর জন্য বলিদান দিতে হয়।
আজ আমিও সেই অধিকারের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছি।
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
একবার চোখ খুলে দেখ,
এখনও ব্রাহ্মণ্যবাদের ভাইরাস
দেশ সমাজ ও জাতিকে প্রগতির বিরুদ্ধে হয়ে উঠেছে প্রতিবন্ধক।
তারা কখনও চায়না তোমরা সত্যিকারের মানুষ হও।
তোমরা তোমাদের ন্যাজ্য অধিকার পাও।
তাই বন্ধু আর দেরী নয়।
ওঠো, জাগো, তুলে নেও বিজ্ঞান ও যুক্তির হাতিয়ার।
ভেঙে ফেলে দাও ওই ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রাচীর।
ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও শিক্ষা ও সাম্যের আলো।
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
একটা কথা তোমরা কিন্তু মনে রেখো।
ওরা কিন্তু তোমাদের অধিকারকে বন্ধ করার জন্য আরও নির্দয়ী হবে।
তোমাদের প্রগতির সকল রাস্তাকে ওরা রুদ্ধ করে দেবে।
বদনাম আর অপপ্রচারে জনগণকে করবে বিভ্রান্ত।
ওরা শুধু  মুখেই বলবে তোমাদের জন্য সাম্যের কথা
কিন্তু পিছন ফিরে চেয়ে দেখ, ইতিহাস কি বলছে?
না, ওরা কোনদিন তোমাদের অধিকার দেয়নি।
ওরা একলব্যের আঙ্গুল কেঁটে গুরুকে করেছে গরিষ্ঠ।
ওরা চুনি কোটালকে মেরেছে, আর আজ আমাকেও মারল।
আর আগামীকালও কিন্তু তোমাদের ছেড়ে দেবেনা।
তাই ওদের কথায় ভুলে গিয়ে
তোমাদের লড়াইকে থামিয়ে রেখোনা।
হ্যা, আমি রহিত বলছি।
একথা শুধু আমার মুখের কথা নয়।
এটা আমার গভীর উপলব্ধির আত্ম প্রকাশ।
ওরা আজ শিক্ষার অধিকারকে বন্ধ করতে না পেরে,
শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই করেছে হাতিয়ার।
আগামীদিনের শিশুর সামনে তুলে ধরছে ব্রাহ্মণ্যবাদের পঠন-পাঠন।
মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করচে, অলৌকিকতার ধুম্রজাল।
তোমাদের গড়ে তুলছে মেরুদন্ডহীনতায়,
তাই আর নয় বন্ধ, জীবনকে করো পণ।
ব্রাহ্মণ্যবাদের গোলামী থেকে মুক্ত হ’তে গড়ে তোল আন্দোলন।
_____________________
রহিত বেমুলার আত্ম বলিদানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কবিতাটিতে ভাষ্য দিয়েছেন - পবিত্র বিশ্বাস।



Read More