Tuesday 4 October 2022

// // Leave a Comment

**মহৎ প্রাণ, মহাপ্রাণ** লেখক- জগদীশচন্দ্র রায় (মুম্বাই)

 


**মহৎ প্রাণ, মহাপ্রাণ**

লেখক- জগদীশচন্দ্র রায় (মুম্বাই)
মহৎ প্রাণ, মহাপ্রাণ।
তুমি জীবনের প্রারম্ভে শুরু করেছ সংগ্রাম
দারিদ্রতার বিরুদ্ধে।
স্কুল জীবনে তোমাকে গালি খেতে হয়েছে
নীচু জাত বলে।
তবুও তুমি থেমে যাওনি
দারিদ্রতা ও বর্ণবৈষম্যের শৃংখলে।
তোমার উদারতা অসহায়কে দিয়েছে
নিরাপদ আশ্রয়।
তোমার সংগ্রামী নেতৃত্ব,
‘মুক’ এর মুখে ফুটিয়েছে ভাষা,
নিপীড়িতকে দিয়েছে ভরসা।
তাইতো তারা তোমাকে করেছে বিজয়ী
কঠোর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।
তুমিও রেখেছ তাদের যোগ্য সম্মান
সংবিধান সভায় বাবা সাহেবকে পাঠিয়ে।
সংবিধান দিয়েছে অধিকার
শিক্ষা, চাকরী ও রাজনীতিতে।
তুমি চেয়েছিলে সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতার বাণীকে
পৌঁছে দিতে ঘরে ঘরে।

কিন্তু হায়,
সুবিধা ভোগীরা শুধু সুযোগটাকেই
কাজে লাগাল নিজের স্বার্থে।
তোমার সংগ্রামকে ভুলে গিয়ে
ব্রাহ্মণ্যবাদী কৌশলে ফেঁসে গিয়ে
তারা উপকারিকে বানাল ভিলেন।
দেশভাগের যেখানে তোমার হাত ছিলনা,
সেকথা কেউ মানতে চাইল না।
না জেনে তারা তোমার নামে
প্রচার করে ক্লেম।
তোমার উদাত্ত আহবান-
“চার বার মন্ত্রী হয়েও করিনি কোন
সম্পদ আহরণ।”
বঞ্চিতের মুক্তির সর্তে তুমি
দিতে চাইলে জলন্ত অগ্নিকুন্ডে ঝাঁপ
তবুও সেকথা বুঝে কেউ করলা তোমাকে মাফ।
তোমাকে কৌশলে মারল যারা
তাদেরকে সবাই ভুলে গেছে।
তোমার কর্ম ইতিহাসের পাতায়
ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে।
তাই, দুঃখ নয় বন্ধু।
এটাই হয়তঃ বর্তমান শিক্ষার রীতি।
তোমার আসল খবর যেদিন তারা বুঝবে,
সেদিন সকলে করবে তোমাকে প্রীতি।
তোমার সংগ্রামী জীবন আমাদের প্রেরণা।
তোমার কর্ম কুশলতা আমাদের পন্থা।
তোমার আদর্শই আমাদের উদ্দেশ্য
তোমার সংগ্রামই আমাদের হাতিয়ার
অশিক্ষা, কুটনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
তাই তোমার সংগ্রামকে স্মরণ করে
তোমাকে জানাই প্রনাম।
জয় মহাপ্রাণ, জয় মহাপ্রাণ।
Read More

Sunday 2 October 2022

// // Leave a Comment

তুমি ছিলে তাই-


 তুমি ছিলে তাই-

তুমি ছিলে তাই, মূলনিবাসীরা স্বাধীনতার স্বাদ পেল না।
তুমি ছিলে তাই, অস্পৃশ্যদের দ্বৈত ভোটের অধিকার দিলে না।
তুমি ছিলে তাই, জাতি আর বর্ণ ব্যবস্থা বেঁচে আছে।
তুমি ছিলে তাই, বর্ণবাদীরা মহা আনন্দেতে আছে।
তুমি ছিলে তাই, বগলে ছুরি মুখে রাম নিয়ে মহাত্মা হওয়া যায়।
তুমি ছিলে তাই, দেশভাগ তোমার লাশের (?) উপরে হয়ে যায়।
তুমি ছিলে তাই, আম্বেদকর পুনাচুক্তিতে খল নায়ক হয়ে যায়।
তুমি ছিলে তাই, অস্পৃশ্যদের সব অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যায়।
তুমি ছিলে তাই, ২ অক্টোবর জাতীয় ছুটি সবাই পায়।
তুমি ছিলে তাই ১৪ এপ্রিলের ছুটি দিতে কেঁদে ভেসে যায়।
তুমি ছিলে তাই, চিত্তরঞ্জনের মাধ্যমে চিঠি যায় গুরুচাঁদের কাছে।
তোমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার উত্তরও ফিরে আসে।
তুমি ছিলে তাই, দেশটা এখনো তোমাকে নিয়ে নাচে।
তুমি ছিলে তাই, বাকিদের নাম ধুয়ে মুছে গেছে।
তুমি ছিলে তাই মহাত্মারা যুগে যুগে আসে যায়।
তোমার কৃপায় পিছিয়ে রাখারা পিছনেই থেকে যায়।
তোমার গুণের মহিমা লিখে শেষ করা নাহি যায়।
পাঠকদের শান্ত করতে এখানেই বিরাম নিতে হয়।
Read More