Sunday 11 October 2015

// // Leave a Comment

সমাজ সেবা ও সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য।--বৈশালী ডোলস্‌

সমাজ সেবা ও  সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য।
বন্ধুরা, আমরা সাধারণত শুনি বা বলি যে, আপনি কর্মক্ষেত্রের কাজের বাইরে আর কি কাজ করেন? তখন আমরা শুনতে পাই বা গর্বের সঙ্গে বলি যে, “আমি সমাজ সেবা করি।” 
চলুন এবিষয়ে আমরা সমাজ প্রবোধনকার মানণীয়া বৈশালী ডোলস্‌ এর ব্যাখ্যা থেকে জেনে নেই।
     তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরু করেছেন এই ভাবে- “আমি কখনো আপনাদের শ্রতা বলতে চাইনা। কারণ শ্রতা আর বিচার বন্ত (অর্থাৎ বিচারধারায় প্রভাবিত) মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে। রাজহাসকে দুধ আর জল মিশিয়ে দিলে সে দুধটাকে চুষে খায়। আর জল পড়ে থাকে। তাই এই দুধ আর জলকে আলাদা করে বোঝার ক্ষমতাবানদের আমি বিচারবন্ত বলি।
__________________________________________________
আমি জানিয়ে দিতে চাই যে, আমি সমাজ সেবা করিনা। আমাকে কেউ সমাজ সেবক/সেবিকা  বলবেন না। আমি সমাজ প্রবোধন করি। সমাজ সেবা আর সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। ভিক্ষারীকে ভিক্ষ দেওয়া এটা সমাজ সেবা। কিন্তু  ভিক্ষারীকে যাতে ভিক্ষা না করতে এই ধরনের ব্যবস্থা তৈরী করা, এটা হচ্ছে সমাজ প্রবোধনের কাজ।
     তেমনি কৃষকদের অনেক কর্য বা লোন হলে সেটা মকুব করে দেওয়া হচ্ছে সেবা করা। এর ফলে দু’চার জন কৃষকের প্রাণ বেঁচে যেতে পারে। কিন্তু কৃষকদের যাতে কখনো কর্যা বা লোন না নিতে হয় এরকম ব্যবস্থা তৈরী করা কাজ হচ্ছে প্রবোধনের কাজ।
    কর্যা মকুব করায় কয়েক জনের সুবিধা হয়। কিন্তু তাতে কৃষকের পিড়ির বা পরবর্তী প্রজন্মের তেমন কোন সুবিধা হয় না। কিন্তু আমি পরবর্তী পিড়িকে যাতে কর্যা না নিতে হয় সেরকম ব্যবস্থা নির্মাণ করার জন্য প্রবোধন করি।
  ________________________________________________
কেউ কেউ আমাকে বলেন যে, আপনি ব্রাহ্মণদের গালি দেন কেন? আমি বলতে চাই ভারতের ইতিহাস হচ্ছে শোষণ ব্যবস্থার ইতিহাস। আর এই শোষণ ব্যবস্থায় শোষকবর্গ হচ্ছে ব্রাহ্মণ। তাই তার জন্য আমি দায়ি নয়। ব্রাহ্মণদের ব্রাহ্মণ বলা হবে না তো কি বলতে হবে? এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন। জানোয়ারকে জানোয়ার বলতে হয়। আর মানুষকে মানুষই বলতে হয়।”

0 comments:

Post a Comment