রিজার্ভেশান গরীবি হটাও এর কার্যক্রম নয়।
লেখক – জগদীশচন্দ্র রায়
Sc, ST & OBC এর সাংবিধানিক রিজার্ভেশানের মূল অর্থ হচ্ছে – প্রতিনিধিত্ব (representation).
যদিও এর প্রতিনিধিত্বের মূল ধারণাকে বদলে দিয়ে গতানুগতিক রিজার্ভেশনের
সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। যার ফলে এই প্রতিনিধিত্বকে সমাপ্ত করার জন্য কৌশল করে আওয়াজ তোলা হচ্ছে আর্থিক আঁধারে রিজার্ভেশন দেওয়ার দেওয়া
হোক। এই আওয়াজে বৈদিকবাদীরাতো আছেই সঙ্গে তাল মিলাচ্ছে কিছু দালাল। বাবা সাহেব বলেছিলেন,
আমি কাজ করার জন্য তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন লোক
না পেলেও চলবে, সেটা আমি পূর্ণ করে নেব। কিন্তু আমি ইমানদার লোক চাই।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বাবা সাহেবের দেওয়া সুবিধার সুযোগ নিয়ে তার সমাজের জন্য ইমানদার না হয়ে, বৈদিকবাদীদের কাছে কিছু পাওয়ার আশায় সমাজের সঙ্গে গদ্দারী করছে। তাই বাবা সাহেবের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়েগেল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বাবা সাহেবের দেওয়া সুবিধার সুযোগ নিয়ে তার সমাজের জন্য ইমানদার না হয়ে, বৈদিকবাদীদের কাছে কিছু পাওয়ার আশায় সমাজের সঙ্গে গদ্দারী করছে। তাই বাবা সাহেবের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়েগেল।
সংবিধানের 15(4)
& 16(4) ধারায় বাবা সাহেব বলেন- ১. Those who are adequately not represented.
যারা পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেনি। তারাই শুধুমাত্র
রিজার্ভেশনের অধিকারী। যাদের কাছে ক্ষমতার সব কিছু আছে তারা আরক্ষণ পাবেনা।
২. বাবা সাহেব বলেন- Those who are the members of the scheduled caste scheduled tribe or
socially and educationally back word classes. সামাজিক ও শিক্ষণিক
দৃষ্টিকোণ থেকে পিছিয়ে পড়া, অনু্সূচীত জাতি বা অনুসূচীত উপজাতির হলে এবং পর্যাপ্ত
প্রতিনিধিত্ব না পেলে এই শর্তের অধিকারীরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবে।
অনেকেই বলেন সংরক্ষণ আর্থিক আঁধারে হওয়া দরকার। কিন্তু রিজার্ভেশান আর্থিক
আঁধারের ভিত্তিতে গঠিত নয়। আর্থিক আঁধারের
ভিত্তে ৪৬ ধারায় লেখা আছে যারা আর্থিক দৃষ্টিতে দুর্বল তাদের জন্য সরকারের উচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (The State shall promote with specila care the educational and economic
interests of the weaker sections of the people)
তাই বি.পি.এল. আর সংরক্ষণের কার্যক্রম একত্র নয়। দারীদ্র
রেখার নিচের লোকদের জন্য কার্যক্রম হওয়া
দরকার। যার মধ্যে সব জাতির লোক থাকতে পারবে। যেটা হচ্ছে দারিদ্র নির্মূলনের কার্যক্রম। কিন্তু রিজার্ভেশন হচ্ছে
প্রতিনিধিত্বের সামাজিক ন্যায়ের কার্যক্রম।
এদুটো কখনো এক হতে পারেনা।
গরীবদের ন্যায়ের জন্য ৩৮, ৩৯, ৪১ ও ৪৬ ধারা আছে।
সংবিধানে এবিষয়ে বিস্তারিত বর্নণা আছে। দুটোকে একত্র করে উদ্দেশ্যকে
বিপথগামী করার কাজ চলছে।
সুপ্রিম কোর্ট ১৬ নভেম্বর ১৯৯২ এর স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যেটা ৯জন বিচারকের
বেঞ্চ জানিয়েছেন যে, বিচারক এম. এস. কানিয়া (প্রধান বিচারক), ভেঙ্কট চালাইয়া, এ এম
আহমদি, বি.পি. জীবন রেড্ডি, এস. আর. পান্ডিয়ান, পি. বি. সাবন্ত, পি. কে. থমন ও
কুলদীপ সিংহ There must be a commission appointed by
government or experts. চার মাসের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে এই
কমিশন অবশ্যই গঠন করতে হবে।
ভোট আসার পূর্ব মূহর্ত থেকেই রিজার্ভেশন দেওয়ার নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক
প্রলোভোন দেওয়া হয়। যেটার কোনো বাস্তবতা থাকেনা। 15(4) &
16(4) ধারায় রিজার্ভেশন
হচ্ছে এই মূল রিজার্ভেশনের অংশ। এটা কিছুতেই বদলানো সম্ভব নয়।
২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালে নরসিং রাও এর সময়ে আর্থিক আধাঁর ১০% রিজার্ভেশন
দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু ১৬ নভেম্বর ১৯৯২ এ ইন্দ্রা স্বাহনী বনাম ভারত সরকার (Indira Sawhney & Ors v. Union of India.) এর কেসে সুপ্রিম
কোর্ট সেটাকে নাকচ করে দেন এবং সেটাকে সংবিধান বিরোধী বলে ঘোষণা করেন। https://www.quora.com/What-are-the-salient-features-of-Indra-Sawhney-judgement
কিন্তু তবুও কিছু লোক পূণঃরায় আর্থিক আঁধারে রিজার্ভেশনের জন্য জোরালো দাবী
করছে। তারা বলছে আর্থিক আঁধারে রিজার্ভেশন দেওয়ার জন্য সংবিধান বলদ করো। কিন্তু তারা
জানেনা বা জেনে না জানার ভান করে। সংবিধান বদলানো যায়। কিন্তু মূল ধারাতে হাতও
লাগানো যায়না। সে ব্যবস্থা বাবা সাহেব সংবিধানে করে রেখেছেন। আর্থিক ভাবে
রিজার্ভেশনের কথা সেটা গরীবি নির্মূল
করণের বিষয়, আর রিজার্ভেশন হচ্ছে প্রতিনিধিত্বের বিষয়। এটা কিছুতে গরীবি
নির্মূলকরণের কার্যক্রম নয়। তবুও কিছু
প্রতিক্রিয়াশালীরা বার বার আওয়াজ তুলছে গরিবদের জন্য রিজার্ভেশ দেওয়া হোক।
(তথ্য সংগ্রহ – Marathi speech of Prof. Hari Narke. 54 Books Author, Professor, Researcher &
Editor of Dr Babasaheb Ambedkar & Mahatma Phule's Books.)
0 comments:
Post a Comment