ড. বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের মহাপরিনির্বাণ (6th Dec.) উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন।
তোমার জীবনই সংগ্রাম।
জগদীশচন্দ্র রায়
তোমার জীবনই সংগ্রাম।
তোমার নামই সংগঠন।
তোমার কর্ম ও আদর্শই ‘জাগরণ’।
তাই তুমি সকলের বাবা সাহেব, লহ প্রণাম।
বাল্যকালে তুমি মাতৃহারা হয়েও
শিক্ষার আলো পেতে ব্রত নিলে
সকল বাঁধাকে পিছনে
ফেলে
জেগে উঠলে তুমি ‘ভীম’
নাম নিয়ে।
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি নিয়েও
গ্রহণ করলেনা কোনো
উচ্চপদ।
তোমার মাথায় একটাই
চিন্তা
ব্রাহ্মণ্যবাদের কবল থেকে ভারতকে মুক্ত করে
বানাতে চাইলে প্রবুদ্ধ ভারত।
তোমার সংগ্রামের প্রথম মুহুর্তেই
বলিদান দিল তোমার সন্তানেরা ও আপন জন।
নিজের সন্তানের লাশকে ঢেকে রেখে তুমি
খুলে দিলে হাজার সন্তানের অন্ন-বস্ত্র ও শিক্ষার দ্বার।
তোমার সংগ্রামের রক্তকে পান করে
জেগে উঠল ঘুমন্ত শিশুর দল।
কিন্তু হায়! একি হোলো?
তারা কোথায় ছুটে চলেছে?
কোন্ ব্রাহ্মণ্যবাদের মরিচিকা তাদের করছে আহবান?
কোন অগ্নিকুন্ডের দিকে ছুটে চলেছে এরা
নিজের স্বাভিমানকে
দিতে বলিদান!
এরা কোন বিসমতার সুরে নৃত্য করছে?
বিকিয়ে দিচ্ছে নিজেদের আত্ম সম্মান?
এ দোষ কি শুধু তাদের?
যারা তোমার ফল খেয়েই ভুলে যাচ্ছে তোমাকে?
তারাতো অবশ্যই দোষী।
কিন্তু তাদের থেকেও মহাদোষী ঐ ব্রাহ্মণ্যবাদি শয়তানগণ।
যারা তোমাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে,
তোমার নামে অপবাদ প্রচার করতে
ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষের জ্বাল।
বিসমতার এই বারুদ, রুদ্ধ করছে সমতার কন্ঠকে।
ধীরে ধীরে সব কিছুকে গ্রাস করে
বুদ্ধের মত তোমাকেও
নিক্ষেপ করতে চাইছে অতলান্তে!
তাই, ওঠো, জাগো হে মুক্তিকামী জনতা।
শুরু করো সংগ্রাম, ফিরে পেতে স্বাভিমান ও আত্ম সম্মান।
যদি তোমরা হও এই পিতার সন্তান।
হাতে নাও বিচার ধারার কৃপাণ
ভেঙে ফেলে দাও এই
শয়তানের প্রাচীর
তুলে ধরো মহামবের বিজয় বীণ।
আর শ্লোগান তোলো জয়
ভীম জয় ভীম।
শ্লোগান তোলো জয় ভীম জয় ভীম।
_____________
0 comments:
Post a Comment