Thursday, 27 March 2025

// // Leave a Comment

ড. বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের মহাপরিনির্বাণ (6th Dec.) উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন। তোমার জীবনই সংগ্রাম। জগদীশচন্দ্র রায়




















 . বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের মহাপরিনির্বাণ (6th Dec.) উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন।  

তোমার জীবনই সংগ্রাম।

জগদীশচন্দ্র রায়

 

তোমার জীবনই সংগ্রাম।

তোমার নামই সংগঠন।

তোমার কর্ম ও আদর্শই জাগরণ

তাই তুমি সকলের বাবা সাহেব, লহ প্রণাম।

 

বাল্যকালে তুমি মাতৃহারা হয়েও

শিক্ষার আলো পেতে ব্রত নিলে

 সকল বাঁধাকে পিছনে ফেলে

 জেগে উঠলে তুমি ‘ভীম’ নাম নিয়ে।

 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি নিয়েও

 গ্রহণ করলেনা কোনো উচ্চপদ।

 তোমার মাথায় একটাই চিন্তা

ব্রাহ্মণ্যবাদের কবল থেকে ভারতকে মুক্ত করে

বানাতে চাইলে প্রবুদ্ধ ভারত।

 

তোমার সংগ্রামের প্রথম মুহুর্তেই

বলিদান দিল তোমার সন্তানেরা ও আপন জন।

নিজের সন্তানের লাশকে ঢেকে রেখে তুমি

খুলে দিলে হাজার সন্তানের অন্ন-বস্ত্র ও শিক্ষার দ্বার।

তোমার সংগ্রামের রক্তকে পান করে

জেগে উঠল ঘুমন্ত শিশুর দল।

 

 

কিন্তু হায়! একি হোলো?

তারা কোথায় ছুটে চলেছে?

কোন্‌ ব্রাহ্মণ্যবাদের মরিচিকা তাদের করছে আহবান?  

কোন অগ্নিকুন্ডের দিকে ছুটে চলেছে এরা

 নিজের স্বাভিমানকে দিতে বলিদান!

এরা কোন বিসমতার সুরে নৃত্য করছে?

বিকিয়ে দিচ্ছে নিজেদের আত্ম সম্মান?

 

এ দোষ কি শুধু তাদের?

যারা তোমার ফল খেয়েই ভুলে যাচ্ছে তোমাকে?

তারাতো অবশ্যই দোষী।

কিন্তু তাদের থেকেও মহাদোষী ঐ ব্রাহ্মণ্যবাদি শয়তানগণ।

যারা তোমাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে,

তোমার নামে অপবাদ প্রচার করতে

ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষের জ্বাল।  

 

বিসমতার এই বারুদ, রুদ্ধ করছে সমতার কন্ঠকে।  

ধীরে ধীরে সব কিছুকে গ্রাস করে

বুদ্ধের মত তোমাকেও

নিক্ষেপ করতে চাইছে অতলান্তে!

 

তাই, ওঠো, জাগো হে মুক্তিকামী জনতা।

শুরু করো সংগ্রাম, ফিরে পেতে স্বাভিমান ও আত্ম সম্মান।

যদি তোমরা হও এই পিতার সন্তান।

হাতে নাও বিচার ধারার কৃপাণ

 ভেঙে ফেলে দাও এই শয়তানের প্রাচীর

তুলে ধরো মহামবের বিজয় বীণ।

 আর শ্লোগান তোলো জয় ভীম জয় ভীম।

শ্লোগান তোলো জয় ভীম জয় ভীম।

_____________ 

Read More
// // Leave a Comment

তোমার বিদ্যার দেবতা কে? জগদীশচন্দ্র রায়

 


তোমার বিদ্যার দেবতা কে?

জগদীশচন্দ্র রায়

তুমি ছিলে অচ্ছুৎ, পতিত, নীচ্‌।

তোমার থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল

শিক্ষা, সম্পত্তি ও শস্ত্রের অধিকার।

তুমি ভাবছো, ‘এসব জেনে আমার কী দরকা’। 

তবে শোন, তোমার একটাই কর্ম হলো নির্ধারিত;

নিঃশব্দে প্রভুর সেবা করা।

তুমি হলে পশুর থেকেও অপবিত্র।

এইভাবে তুমি শৃঙ্খলীত হয়ে, মানুষ নামের পশু হয়ে

কাটালে তোমার জীবন।

হাজার বছর ধরে।

 

কালের চক্র ঘুরে চলে। দিকে দিকে জন্ম নিল-

বুদ্ধ, মার্ক্স, মার্টিন; হরি-গুরু, যোগেন,ভীম।

‌ জ্যোতি,সাবিত্রি, নেলসন; আরো কতো নাম।   

তোমাকে শৃঙ্খল মুক্ত করতে শুরু হোল তাদের সংগ্রাম।

ক্রান্তি – প্রতিক্রান্তির ডামাডোলে

কারাগারের ছিদ্র দিয়ে দেখতে পেলে তুমি আলোকে।

 যে আলো তোমার শৃঙ্খল মুক্ত করতে চায়।

তোমার অজ্ঞানতাকে দূর করতে চায়।

তোমাকে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়।

প্রবল সংঘর্ষের ফলে তুমি শরীরের বন্দি দশা থেকে হলে মুক্ত।

 

 কিন্তু হায়!

তোমার প্রভুরাতো তোমাকে গোলামই রাখতে চায়।

তাই তুমি বন্দি হলে বৈদিক পূজা-পাঠ, যাগ-যজ্ঞ, দান-দক্ষিণায়। 

তোমাকে যারা মুক্ত করে আলো দেখালো

তাদের তুমি ভুলে গিয়ে আকড়ে ধরলে অলীককে।

আপন করলে শত্রুকে। আর পর করলে নিজেকে।

 

তুমিতো জানোয়ার নও। তুমিতো মানুষ!

কবে জাগবে তোমার হুষ?

যে পশুও বোঝে কোনটা মাটি আর কোনটা খাটি।

তাহলে তুমি কেন বুঝতে চাওনা

মাটির পুতুল ছেড়ে মানুষ কেন চেনোনা?

তোমার হাতে তো কলম উঠেছে,

কিন্তু পেটে কালির বিদ্যা কবে হবে?

তোমার পকেটে তো টাকা এসেছে।

তবে এসবের অবদানকে কবে জানবে?  

তোমার অহমিকাকে ভুলে গিয়ে মহামানবদের কবে চিনবে?

 যারা অবিদ্যান হয়েও বিদ্যার লড়াই করল তোমার জন্য

তোমার চোখে জ্বাল্লো জ্ঞানের আলো

আজ তাদের ভুলে তুমি ছুটে চলেছ

এ কোন অলীক বিদ্যাদেবীর দ্বারে??

 

যদি তুমি মানুষ হতে চাও

মাটির প্রতিমাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে

ভালোবাস মাটির মানুষকে।

ভালবাস তোমার জ্ঞানালোক ধারীকে।

বন্দনা করো তাদের জ্ঞানাদর্শকে।

বন্দনা করো তাদের জ্ঞানাদর্শকে।।

_______________ 

 

 

 

 

 

 


Read More