Thursday, 27 November 2025

// // Leave a Comment

সংরক্ষণের সুবিধা-প্রাপকদের জাতি-পরিচিতিটাই গুরুত্ব পাচ্ছে সংরক্ষণ বিরোধিতার নামে (২৭-১১-২০২৫ আনন্দবাজার পত্রিকা) লেখক- সুজিত মাঝি


 

সংরক্ষণের সুবিধা-প্রাপকদের জাতি-পরিচিতিটাই গুরুত্ব পাচ্ছে

সংরক্ষণ বিরোধিতার নামে (২৭-১১-২০২৫ আনন্দবাজার পত্রিকা)

লেখক- সুজিত মাঝি

(পুরোটা পড়ার পরই লাইক বা মতামত দেবেন)

     জকাল সংরক্ষণ নিয়ে নানা বিতর্ক থেকে অনেক বিষয় উঠে আসে। বলা হয়, তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি ছাত্রছাত্রীরা সংরক্ষণের মাধ্যমে চিরকাল সুবিধা পেয়ে এসেছেন। অল্প নম্বর পেয়ে কলেজ, ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হন। জয়েন্ট বা নিট পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হন। সংরক্ষণ প্রথা নাকি মেধাকে নষ্ট করছে।

     ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে, এক জন সংরক্ষণের সুযোগে ১০০-তে ৭০ পেয়ে উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছেন, আর এক জন সংরক্ষণের বাইরে থাকা ১০০-তে ৯০ পেয়ে ভাল প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পান না। এটাও শোনা যায়, ‘আমরা অধিক খাটনি দিয়েও আমাদের প্রাপ্য পাচ্ছি না, কিন্তু সংরক্ষণ থাকার কারণে কম খাটনি দিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পেয়ে যাচ্ছে।’ অ-সংরক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের মতে, পড়াশোনা বা চাকরিতে সংরক্ষণ থাকা উচিত নয়, তার পরিবর্তে তাঁদের আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করা হোক। অঙ্কের হিসাবেও গরমিল করে দেখানো হয়, যাঁদের সংরক্ষণ আছে, তাঁরা সংরক্ষিত আসন পাওয়ার পরেও অ-সংরক্ষিত আসনেও ভাগ বসাচ্ছেন। তাঁদের জন্যই নাকি ১০০ শতাংশ আসন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীর জন্য কিছুই নেই। ফলে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা হতাশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমনই এক মনোভাব আজকের দিনে অনেকের কাছে তৈরি হয়েছে সংরক্ষণ বিষয়ে।

      কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংরক্ষণ বজায় রেখে, সাধারণ জাতির কিছু অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছে। ভারতে ২০১৯ সালে ১০৩তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ১০ শতাংশ ইডব্লিউএস সংরক্ষণ দেওয়া হয়। সংরক্ষণের আওতায় আসার জন্য বেশ কিছু মানদণ্ড রাখা হয়েছিল, বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের বেশি হলে হবে না, কৃষিজমির পরিণাম ৫ একরের নীচে হবে, বাসভূমির পরিমাণ ১০০০ স্কোয়্যার ফুটের বেশি না হয়, তার সঙ্গে আরও কয়েকটি শর্ত পালনের কথা বলা হয়েছে। এই সংরক্ষণ সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যকর করা হয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই তফসিলি জাতি, জনজাতি অথবা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসির সংরক্ষণের আওতাভুক্ত আছেন, তাঁরা এই সংরক্ষণের মধ্যে আসতে পারবেন না। ২০২২ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রাখে। পশিমবঙ্গ সরকারও মোটামুটি কেন্দ্রের মতো শর্তে ১০ শতাংশ ইডব্লিউএস সংরক্ষণ দেওয়া শুরু করে। তার আগে পশ্চিমবং সরকার অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসির সংরক্ষণকে দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল, বর্তমানে তার মধ্যে কিছু সংশোধন করে কিছু জাতি এবং সম্পরদায়কে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে অনেক জাতি বা সম্প্রদায়ের সুবিধাও হয়েছে চাকরি বা ভর্তির ক্ষেত্রে।

     হিসাবটা মোটামুটি এমন দাঁড়িয়েছে যে, আর্থিক অসুবিধার জন্য যাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন তাঁরাও সংরক্ষণের  আওতায় এসেছেন। কিন্তু আলোচনাতে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসিদের ক্ষেত্রে মেধা নিয়ে কথা উঠলেও, ইডব্লিউএস সংরক্ষণের বিষয়টা আসে না। তাই সাধারণ জাতির অনেকে সংরক্ষণের সুযোগ পেলেও, গালাগালি খাওয়ার পাত্র হয় সেই তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্তরা।

      সম্প্রতি বেশ কিছু পরীক্ষায় ইডব্লিউএস কাট-অফ মার্কস তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসিদের থেকে কম এসেছে, এই নিয়ে কিন্তু তথাকথিত সংরক্ষণবিরোধী শিবির চুপ আছে। অন্য দিকে, জনজাতিভুক্তদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কাট-অফ মার্কস কম হলে অনেকে সমাজমাধ্যমে ‘হা-হা’ প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়ে না, সঙ্গে নানা কুকথাও বলে থাকে।

    এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়। সেখানে তিনটি বিষয়ে প্রাপ্য নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করে ইণ্টারভিউ-এর পূর্বে নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছে, আশা করা যায় এঁরা সকলেই ইণ্টারভিউ-এর জন্য ডাক পাবেন। পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৬০ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা বাবদ ১০ নম্বর এবং পূর্বে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁদের পূর্বে স্কুলে পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৮০ নম্বরের ভিত্তিতে। যাঁদের এই অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদের ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে। এখানে যাঁদের স্কুলে পাড়ানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এবং লিখিত পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের সুযোগ বেশি নথিপত্র যাচাইয়ে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে, এটাই স্বাভাবিক।

     সেই হিসাবে মেধা তালিকা দেখলে বোঝা গেল, বেশির ভাগ পূর্বে চাকরি করা লোকজন ডাক পেয়েছেন, কিছু সংখ্যক অনভিজ্ঞও আছেন তাদের মধ্যে। প্রশ্নটা এখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়ে নয়, সংরক্ষণ নিয়ে। এ বারে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ পাওয়া অনেকে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসিদের থেকেও কম নম্বর পেয়ে নথিপত্র যাচাইয়ে ডাক পেয়েছেন, পরে চাকরিও পাবেন। এই নিয়ে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হলেও, ইডব্লিউএস সংরক্ষণ বিরোধী উক্তি তেমন শুনতে পাওয়া যায়নি।

     প্রশ্ন হচ্ছে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ পান কারা? নিশ্চয়ই তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসিদের মধ্যে কেউ নন—বাকি বামুন, বৈদ্য, কায়েত-সহ আরও কিছু ঊচ্চবর্ণের লোকজন। এই সংরক্ষণে ঊচ্চবর্ণের লোকজন আছেন, তার প্রমাণ স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রকাশিত মেধা তালিকাতেই পাওয়া যাবে। বর্ণহিন্দু পদবির অনেক নাম খূঁজে পাওয়া যাবে। এঁরাই দীর্ঘ কাল ধরে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছেন। যাঁরা মেধা নিয়ে বড় বড় কথা বলে এসেছেন, আজকে তাঁরা কিন্তু চুপ। ভদ্রলোক সমাজের অনেকে  সায়েন্স বিষয়ে কম নম্বর পাওয়া জনজাতিভুক্তদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন সমাজমাধ্যমে, কিন্তু ইডব্লিউএস সংরক্ষণ পাওয়া ওই ঊচ্চবর্ণের লোকজনদের নিয়ে চুপ আছেন। অন্য অনেক বিষয়ে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসিদের ছেলেমেয়েরা ইডব্লিউএসদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েও ডাক পাননি, সেই বিষয়ে সহানুভূতির পর্বও চলছে সমাজমাধ্যমে। এই সব চর্চায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দোষারোপ করলেও, ইডব্লিউএস সংরক্ষণ পাওয়া লোকজনের সমালোচনা কম। আগে বলা হত, জনজাতিভুক্ত লোকজন স্কুলে পড়ালে স্কুল উচ্ছন্নে যাবে। এখনও অবধি কাউকে বলতে শোনা যায়নি, ‘সোনার চাঁদ’,  ‘সোনার টুকরো’দের জন্য স্কুল উচ্ছন্নে গিয়েছে, এ বার এঁদের জন্য যাবে।

    এ বার শিক্ষকসমাজের মধ্যে বৈষম্য নিয়েও দু’-চার কথা বলা যাক। স্কুলে চাকরিরত তফসিলি জাতি বা জনজাতির শিক্ষকদের বৈষম্যের খবর শিরোনামেও আসে। অনেক শিক্ষক অনেক ভাল নম্বর পেয়ে পড়াতে গেলেও বলা হয় ‘কোটা’তে এসেছেন—কপালে জোটে তাচ্ছিল্য, কটূক্তি। কিছু দিন পর চাকরি পেয়ে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ পাওয়া লোকজন স্কুলে পড়াতে যাবেন, তাঁদের আশা করি তাচ্ছিল্য, কটুক্তির শিকার হতে হবে না। যে-হেতু তাঁদের লেজুড়ে জুড়ে আছে বড় বড় পদবি। মেধা নিয়েও প্রশ্নও উঠবে না।

     বিষয়টা তা হলে সংরক্ষণ-বিরোধিতা নিয়ে নয়, প্রশ্ন যাঁরা সংরক্ষণ-সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের পরিচিতি নিয়ে। সংরক্ষণের মাধ্যমে চাকরি বা ভর্তির সুযোগ পাওয়া মানেই পড়াশোনাতে দুর্বল, কিছু জানে না, এই মনোভাব পোষণ করা নিয়ে। ইডব্লিউএস চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পেয়ে স্কুলে মন দিয়ে পড়ান, সেটা সমস্যা নয়। প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। জাতিভেদ বিষয়ক মনোভাব নিয়েই আসল প্রশ্ন। তফলিসি জাতি-জনজাতিভুক্তরা সামাজিক সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন কেন, সেটাই আসল প্রশ্ন। উচ্চ জাতি পদবিভুক্ত মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা নিলেও সেই প্রশ্নের আওতায় পড়েন না। পড়বেন না। সংরক্ষণবিরোধীরাও কিন্তু এই আসল কথাটা বলছেন না। অথচ সততার খাতিরে তাঁদের এগিয়ে এসে জোর গলায় বলা উচিত যে, সংরক্ষণ নামক ব্যবস্থাটিতে আসলে তাঁদের আপত্তি নেই—আপত্তি হল, কে সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন, নিচুতলার লোকরা পেয়ে যাচ্ছেন কি না—সেটা নিয়েই।

______________________

    

Read More

Monday, 24 November 2025

// // Leave a Comment

दलित शब्द का निर्माता कौन है ?-KAVITA TAYDE

Q-1 दलित शब्द का निर्माता कौन है ?
Who is the Creator of Dalit word ?
Q-2 डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकर के दुश्मन कौन है ?
Who is the enemies of Dr. Babasaheb Ambedkar ?
Both question have same Answer. दोनों सवाल का एक ही जवाब है.
डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकरजी के समाचार पत्र News Paper of Dr. Babasaheb Ambedkar
1. Muknayak मुकनायक
2. Bahishkrut Bharat
बहिष्कृत भारत 
3. Samta
समता
4. janta
जनता
डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकरजी के सामाजिक, धार्मिक और राजनीतिक संगठन
Social, Religious and Political organisation of Dr. Babasaheb Ambedkar
1.Bahishkrut hitkarini sabha
2. Samaj Samta Sangh
3. Samata Sainik Dal
4. Independent Labour Party,
5. Scheduled Castes Federation
6. Buddhist Society of India
डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकरजी के कुछ किताबें
Riddles in Hinduism
Who were the shudras ? ;
The untouchables
What Congress and Gandhi have done to the untouchables
दलित शब्द के समर्थक डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकरजी के अनुयायी हो सकते ?
Can the supporter of Dalit words be follower Dr. Babasaheb Ambedkar ?
इस के बावजूद हम कहने की हिम्मत कर सकते
in spite of this, can we dare to say
डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकर ने हमारे लिए दलित शब्द का इस्तेमाल किया ? 
Dr. Babasaheb Ambedkar said Dalit word for us ?
डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकर दलितो के ya बहुजन के मसीहा है ?
डॉ.बाबासाहेब अम्बेडकरजी का भारत का संविधान
बहुजन हीताय बहुजन सुखाय पर आधारित है ?
ya
दलित हीताय दलित सुखाय पर आधारित है ?
Q-1 दलित शब्द का निर्माता कौन है?
Who is the Creator of Dalit word ?
Q-2 डॉ. बाबासाहेब अम्बेडकर के दुश्मन कौन है?
Who is the enemies of Dr. Babasaheb Ambedkar ?
Both question have same Answer. दोनों सवाल का एक ही जवाब है.
Babasahab ne kabhibhi Dalit shabd ka istemal (USE) nahi kiya,
kyo aap ko maloom hai Babasahab ne koi sanghatan,news paper dalit nam lekar banaya agar aap ko maloom ho to uska nam bataye .
Babasahab ne hamare logo ke liye jo word use kiye hai vo hai Bahishkrut ( Bahishkrut bharat nam ka saptahik nikala, Bahishkrut Hitkarini sabha ye samajik sanghatan banaya) ,
Out Caste mean varna bahya, jo Chaturvarna vyavastha me nahi hai.
Depressed Class mean Dabaye gaye log, dabe huye nahi Dabaye gaye aur dabe huye in dono shabd me bahut bada fark hai.
Scheduled Caste in Constitution of India and
Buddhist at the time of convertion to Buddha Dhamma.
unhone all India scheduled caste Federation banaya jo unka Nationalise Sanghatan hai, jiske badaulat hame constitutional Fundamental rights mile aur
hame Buddhi, paisa samay mila hai aur hum yaha tak pahuche.
Aur kuch log Dalit shabd ka use karke dushman ki boli bol rahe hai, apne Rajnaitik Swarth ke liye
kya Dalit sanghatan Babasahab ke uddesh Annihilation of Caste kar payenga ?
Dalit shabd ye shabd hamare Dushman ka istemal kiya hua word hai .
Babasahab ka hamare loge ke aajadi ke liye chal raha Samajik Andolan ko kamjor karane ke liye congress ne Dalit shabd ka nirman kiya hame vibhajit karne ke liye (Divide and rule).
Hamare log Baba ko manate hai Baba ki nahi manate, hamare logo ko confuse karane ka kam karate hai,
Babasahab ne hame Sanvidhanik Mulbhut adhikar diye, jo Hajaro salose hame nakare gaye the.
magar Kuch log apne Swarth aur Mahatvakasha ko pura karne ke liye Babasahab ke uddesh aur Vichardhara se beimani karte hai.
Sanvidhanik Mulbhut adhikar ka Sadhan Babasahab ne hame diya hai us sadhan ka istemal hamare upar hajaro salo se thopi gayi Samajik Gulami ( Caste) ko khatma karane ke liye hame karna hai.
Use Constitutional Fundamental Rights for Destroy of Our Social Slavery.
hamari constitutional recognisation Scheduled caste in Article 341 and
Dhamm pahchan Buddhist hai.
Jai Bhim.(COPY FORM KAVITA TAYDE)
Top of Form

Bottom of Form


Read More
// // Leave a Comment

সমাজ সেবা ও সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য।--বৈশালী ডোলস্‌

সমাজ সেবা ও  সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য।
বন্ধুরা, আমরা সাধারণত শুনি বা বলি যে, আপনি কর্মক্ষেত্রের কাজের বাইরে আর কি কাজ করেন? তখন আমরা শুনতে পাই বা গর্বের সঙ্গে বলি যে, “আমি সমাজ সেবা করি।” 
চলুন এবিষয়ে আমরা সমাজ প্রবোধনকার মানণীয়া বৈশালী ডোলস্‌ এর ব্যাখ্যা থেকে জেনে নেই।
     তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরু করেছেন এই ভাবে- “আমি কখনো আপনাদের শ্রতা বলতে চাইনা। কারণ শ্রতা আর বিচার বন্ত (অর্থাৎ বিচারধারায় প্রভাবিত) মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে। রাজহাসকে দুধ আর জল মিশিয়ে দিলে সে দুধটাকে চুষে খায়। আর জল পড়ে থাকে। তাই এই দুধ আর জলকে আলাদা করে বোঝার ক্ষমতাবানদের আমি বিচারবন্ত বলি।
__________________________________________________
আমি জানিয়ে দিতে চাই যে, আমি সমাজ সেবা করিনা। আমাকে কেউ সমাজ সেবক/সেবিকা  বলবেন না। আমি সমাজ প্রবোধন করি। সমাজ সেবা আর সমাজ প্রবোধনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। ভিক্ষারীকে ভিক্ষ দেওয়া এটা সমাজ সেবা। কিন্তু  ভিক্ষারীকে যাতে ভিক্ষা না করতে এই ধরনের ব্যবস্থা তৈরী করা, এটা হচ্ছে সমাজ প্রবোধনের কাজ।
     তেমনি কৃষকদের অনেক কর্য বা লোন হলে সেটা মকুব করে দেওয়া হচ্ছে সেবা করা। এর ফলে দু’চার জন কৃষকের প্রাণ বেঁচে যেতে পারে। কিন্তু কৃষকদের যাতে কখনো কর্যা বা লোন না নিতে হয় এরকম ব্যবস্থা তৈরী করা কাজ হচ্ছে প্রবোধনের কাজ।
    কর্যা মকুব করায় কয়েক জনের সুবিধা হয়। কিন্তু তাতে কৃষকের পিড়ির বা পরবর্তী প্রজন্মের তেমন কোন সুবিধা হয় না। কিন্তু আমি পরবর্তী পিড়িকে যাতে কর্যা না নিতে হয় সেরকম ব্যবস্থা নির্মাণ করার জন্য প্রবোধন করি।
  ________________________________________________
কেউ কেউ আমাকে বলেন যে, আপনি ব্রাহ্মণদের গালি দেন কেন? আমি বলতে চাই ভারতের ইতিহাস হচ্ছে শোষণ ব্যবস্থার ইতিহাস। আর এই শোষণ ব্যবস্থায় শোষকবর্গ হচ্ছে ব্রাহ্মণ। তাই তার জন্য আমি দায়ি নয়। ব্রাহ্মণদের ব্রাহ্মণ বলা হবে না তো কি বলতে হবে? এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন। জানোয়ারকে জানোয়ার বলতে হয়। আর মানুষকে মানুষই বলতে হয়।”

Read More

Friday, 21 November 2025

// // Leave a Comment

বাংলা ভাগ ও যোগেন্দ্রনাথ লেখক – জগদীশচন্দ্র রায়





বাংলা ভাগ ও          যোগেন্দ্রনাথ
      লেখক – জগদীশচন্দ্র রায় 

    একটা প্রবাদ আছে যতো দোষ, নন্দ ঘোষ। নন্দ ঘোষের প্রতি দোষের ইতিহাস না জানলেও যাঁর সম্পর্কে এই আলোচনা করছি, এই বিষয় সম্পর্কে তাঁর দোষ কতটা বা অন্যের দোষ কি তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? তবে কেন? তাহলে আসল দোষী কে বা কারা? আর কেনই বা তাঁরা যোগেন্দ্রনাথের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে দিতে চাইছে? কি ই বা তাদের উদ্দেশ্য ? এ সব বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।
    শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর একটা কথা আছে, ‘দেশভাগ হোক না হোক বাংলাকে অবশ্যই ভাগ করতে হবে।” কেন? একবার পাঠকগণ ভেবে দেখুন বা তথ্য খুঁজে দেখুনতো ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এর পূর্বে সমগ্র(পূর্ব ও পশ্চিম) বাংলায় কোন ব্রাহ্মণ বা উচ্চবর্ণীয়দের শাসন ছিল কি? আর এই সময়ের পরে পশ্চিম বাংলায় কোন নিম্ন বর্ণীয়দের  শাসন এসেছে কি? আশাকরি, বিদগ্ধ পাঠক বুঝতে পেরেছেন শ্যামাপ্রসাদ কেন ঐ কথা বলেছিলেন।
শুধু এই কারণটাই নয়, বাংলা ভাগের অন্যান্য মুখ্য কারণগুলি হলো-
 প্রথম কারণঃ- বাংলা প্রান্তে মুসলিম এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর(বিশেষ করে নমঃশুদ্র) লোকদের সংখ্যা সর্বাধিক ছিল । সেখানে মুসলিম লীগের সরকার ছিল। যদি বাংলার বিভাজন না হয়  তাহলে মুসলিম আর পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর সত্তা চিরস্থায়ী হবে। সেখানে উচ্চবর্ণীয়দের কোন অধিকার থাকবে না । 
দ্বিতীয় কারণঃ- বাংলার খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, বরিশাল এই এলাকা থেকে বাবা সাহেবকে নির্বাচিত করে সংবিধান সভায় পাঠানো হয় । তাই বাংলা বিভাজন করে বাবাসাহেব যে ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেখান থেকে বাবাসাহেবের সদস্য পদ খারিজ করার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাগ করে ছিল 
তৃতীয় কারণঃ-  যে নমঃ(শুদ্র)রা বাবাসাহেবকে সংবিধান সভায় নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেলেন তাদেরকে সাজা দেওয়ার জন্য যাতে তারা আজীবন মুসলমানদের আধীন থাকে, এই শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলা ভাগ করেছিল 
আর একটা কারণ, সেটা আপনারা মানুন আর নাইবা মানুন; সেটা হচ্ছে-
 যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল হচ্ছেন বাংলার আম্বেদকর। তাঁর ক্ষমতা কত সুদূর প্রসারী ও শক্তিশালী, সেটা তাঁর থেকে উপকার প্রাপ্তরা কতটা বুঝেছেন বলা মুশকিল। তবে উচ্চবর্ণীয়রা সেটা হাড়ে হাড়ে  বুঝতে পেরে ছিলেন বাখার গঞ্জ কেন্দ্রের জয় থেকে শুরু করে বাবা সাহেবকে সংবিধান সভায় পাঠানো পর্যন্ত। যার জন্য তারা হর পল মহাপ্রাণের লাগামকে নিজেদের কন্ট্রোলের বাইরে যেতে দেয়নি। বরং সব সময় যোগেন্দ্রনাথে বিরুদ্ধে নিজের জাতির লোক দিয়ে যেমন বিরোধীতা  করিয়েছে। তেমনি তারা বুঝতে পেরেছিল, বাংলা ভাগ না হলে কোন দিনই উচ্চবর্নীয়দের কব্জায় বাংলার শাসন ক্ষমতা আসবে না। তাই গোদের উপর বিষ ফোড়াটাকে স্বমূলে নির্মুল করার  জন্য বাংলা ভাগ করা তাদের কাছে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এখানে আর একটা কথা বলে রাখি ঐ সময়ে নেতাজীর অন্তরধান হওয়া উচ্চবর্ণীয়দের বাংলা ভাগ করার কাজটি সুগম হয়।
আপনারা হয়তঃ জানেন। যে গান্ধীর কথা স্কুলে পড়ানো হয়, যে “দেশভাগ হতে হলে আমার মৃত  শরীরে উপর দিয়ে যেতে হবে।”  সেই গান্ধীর উপস্থিতিতে ১৯৪২ সালে ১৫ই জুন কংগ্রেসের অধিবেশনে দেশভাগের প্রস্তাব পাশ হয়। (তথ্যঃ- মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ৩য় খণ্ড লেখক- জগদীশ চন্দ্র মন্ডল)  
    এতোকিছু প্লান মাফিক হওয়ার পরেও বাংলা ভাগের জন্য দোষ চাপিয়ে দেওয়া হ’ল  যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের উপর। কেন? কারণ, আপনারা জানেন, দুর্বা ঘাস প্রচন্ড রোদের শুকিয়ে গেলেও আবার বর্ষার জল পেলে জেগে ওঠে। যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল সেই জাতের লোক ছিলেন। যার প্রমান ‘মায়ের ডাক’ পত্রিকায় একবার প্রকাশিত হয়, “যোগেন মন্ডলরা আবার যাগছে।”  অর্থাৎ  কোন প্রকারেই নিশ্চিহ্ন করতে পারছিল না উচ্চবর্ণীয়রা। যার জন্য তারা যোগেন্দ্রনাথের উপর তাদের মিথ্যা অপবাদের শক্তিসেল প্রয়োগ করে। পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করে যে, তাঁর সঙ্গে কেউ দিবালোকেও দেখা করতে যেতে সাহস পেতেন না লজ্জায়বর্তমানে সেই পরিস্থিতি থেকে অনেক উত্তরোণ ঘটলেও কিন্তু শত্রু পক্ষ তাঁরই সমাজের লোকের মধ্যে তাঁর নামে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা প্রচার করেই চলেছে। আর তাঁরই শ্রমের বিনিময়ে সংরক্ষিত সংরক্ষণের(১৯৬৫ এর লকুড় কমিটির সুপারিশ বন্ধ করে নমঃশূদ্র, দাস, সুড়ি/সাহা ও রাজবংশীদের তপশিলী জাতির অন্তর্ভুক্ত করে রাখেন।) সুবিধা নিয়ে সরকারী চাকরী করে তাঁর প্রতি বিষ উগরে দিচ্ছে। একটা  জাতির পক্ষে এর থেকে লজ্জা ও ঘৃণার আর কি হ’তে পারে!!! এই গোলামদের কোন গ্রেড দেবেন আপনারা?   
বাঙ্গলা বিভাজন যাতে না হয় তার জন্য ১৯৪৭ সালে যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে লোকদের জাগৃত করার কাজ করেন । খড়িবাড়ি(দার্জিলিং) , জলপাইগুড়ী, দিনাজপুর, হরিনারায়নপুর, খোলাপোতা গ্রাম(২৪ পরগনা ) কলকাতা, বর্ধমান, বীরভুম, হুগলী ইত্যাদি জায়গায় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন । যেকোন পরিস্থিতিতে তিনি বাংলাকে বিভাজিত হতে বন্ধকরার চেষ্টা করেছিলেন । বাংলা বিভাজনের পক্ষে
কংগ্রেস আর উচ্চবর্নীয়রা কেন ছিল সেটা জানা খুব দরকার এবিষয়ে সরাসরি তুলে দিলাম নিচের অংশ। অনুসন্ধানী পাঠকরা আশাকরি, বুঝতে পারবেন যে, কাদের স্বার্থে ও চক্রান্তে বাংলা ভাগ হয়েছিল। আর যে কাজে যোগেন্দ্রনাথের কোন অংশগ্রহণই ছিল না তিনি কি করে সেই কাজের জন্য দোষী হন??? দেখুন নিচের অংশ। আর জানান আপনার মতামত।

বঙ্গীয় ব্যবস্থাপরিষদে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব গৃহীতঃ-

   বৃটিশ গভর্ণমেন্টের ৩ জুনের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ জুন, বঙ্গীয় ব্যবস্থা পরিষদের হিন্দু  সংখ্যাগরিষ্ঠ ও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল সমূহের প্রতিনিধিগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি পৃথক সভায় মিলিত হলেন। হিন্দু প্রধান জিলাগুলির হিন্দু ও মুসলমান সদস্যগণ একটি সভায় মিলিত হলেন এবং মুলসমান প্রধান জিজাগুলীর হিন্দু ও মুসলমান সদস্যগণ আর একটি পৃথক  সভায় মিলিত হলেন। বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া,  কলকাতা, ২৪  পরগণা, খুলনা, জলপাইগুড়ি এবং দার্লিলিং এই এগারটি হিন্দুপ্রধান জিলার হিন্দু ও মুসলমান  সদস্যগণ যে সভায় মিলিত হলেন তাতে সভাপতিত্ব করলেন বর্ধমানের মহারাজা স্যার উদয়চাঁদ   মহতাব এবং মুসলমান প্রধান জিলাগুলির হিন্দু ও মুসলমান সদস্যগণ মিঃ নূরুল আমিনের  সভাপতিত্বে একটি পৃথক সভায় মিলিত হলেনপ্রথমদিকে কংগ্রেস পক্ষের দাবিতে উভয় অধিবেশনে সমগ্র বাঙলা বর্তমান গণপরিষদে যোগদান করবে বলে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ১২৬ ভোট এবং পক্ষে ৯০ ভোট হওয়ায় প্রস্তাবটি আগ্রাহ্য হয়।
    পরে হিন্দুপ্রধান অঞ্চলের প্রতিনিধিগণের সভায় বঙ্গবিভাগের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। উক্ত প্রস্তাবটি ৫৮-২১ ভোটে গৃহীত হয়। এই অংশের শাসনতন্ত্র প্রণনের উদ্দেশ্য বর্তমান গণপরিষদে  যোগদানের প্রস্তাব ৫৮-২১ ভোটে গৃহীত হয়। অপরপক্ষে মুসলমান প্রধান অঞ্চলের সসস্যগণের সভায় বঙ্গবিভাগের বিরুদ্ধে ১০৬ জন ও পক্ষে ৩৪ জন কংগেসী সদস্য ভোট প্রদান করেন। এই অংশের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করবার জন্য বর্তমান গণপরিষদে যোগদান করবে না, মুসলমান প্রধান অঞ্চলগুলির জন্য যে নতুন গণপরিষদ গঠি হবে, সেই গণপরিষদে যোগদান করবে তার একটি  প্রস্তাব উত্থাপিত  হয়। মুসলমান প্রধান অঞ্চলগুলির জন্য যে নতুন গণপরিষদ গঠিত হবে, সেই গণপরিষদের যোগদানের প্রস্তাবের পক্ষে ১০৭ জন ও বিপক্ষে  ৩৪ জন ভোট প্রদান করায়  প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। মুসলমান প্রধান সদস্যদের সভায় আর একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাহলে উক্ত জেলাকে পূর্ববঙ্গ নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নিতে স্বীকৃত আছে। ১০৫-৩৪ ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এই অংশের কংগ্রেসী ৩৪ জন সদস্য প্রত্যকটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।

বাঙলা ভাগের যে ভোটাভুটি হয় তাতে যারা অংশ গ্রহণ করেন, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হলঃ-

   এই ভোটাভোটিতে মোট ২২৫ জন সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট অঞ্চলের ৮০ জন এবং মুসলমান গরিষ্ঠ অঞ্চলের ১৪৫ জন। ইউরোপীয়ান ২৫ ভোট দানে বিরত থাকেন। হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ এলাকার ৮০ জনের মধ্যে, হিন্দু ৫৮ জন, মুসলমান ২১ জন,  এয়াংলো ইন্ডিয়ান ৪ জন এবং ভারতীয় খৃষ্টান ১ জন।
     উক্ত ৫৪ জন হিন্দুর মধ্যে অ-কংগ্রেসী ভোটার ৫ জন। তারা হলেন – ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী (হিন্দুমহাসভা) মহারাজাধিরাজ স্যার উদয়চাঁদ মহতাব (স্বতন্ত্র), মুকুন্দবিহারী মল্লিক (স্বতন্ত্র), রতনলাল ব্রাহ্মণ (কমিউনিষ্ট) এবং জ্যোতি বসু (কমিউনিষ্ট)।
    ২১ জন মুসলমানের বিশিষ্টদের মধ্যে মিঃ এস. এইচ. সোহারাবর্দী (মূখ্যমন্ত্রী), মিঃ এম. এ. এই. ইস্‌পাহানী (মুসলিম লীগের কার্যকরী সমিটির সদস্য),  মিঃ আবুল হুসের (সম্পাদক, বঙ্গীয় মুসলিম লীগ), মিঃ আবদুর রহমান (সমবায় ও ত্রাণ দপ্তরের মন্ত্রী) এবং নবাব মুসারফ হোসেন।
    মুসলমান সংখ্যা গরিষ্টদের এলাকায় হিন্দু কিরণশঙ্কর রায়, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (যথাক্রমে কংগ্রেস এসেমব্লি পার্টির নেতা ও উপনেতা), নেলী সেনগুপ্ত এবং পি. আর. ঠাকুর (প্রমথরঞ্জন ঠাকুর)।
    মুসলমান গরিষ্ঠ অঞ্চলের ১৪৫ জনের মধ্যে, মুসলমান ১০৩ জন, হিন্দু ৪১ জন, ভারতীয় খৃষ্ঠান ১ জন।
    ৪১ জন হিন্দুর মধ্যে ৬ জন অ-কংগ্রেসী তফশিলী সদস্য, তন্মধ্যে মন্ত্রীদ্বয় দ্বারিকনাথ বারুরী ও নগেন্দ্র নারায়ণ রায়, মহারাজা গিরিশচন্দ্র নন্দী, সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, ভোলানাথ বিশ্বাস, হারাণচন্দ্র বর্মণ (উপয় পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী), গয়ানাথ বিশ্বাস (ময়মন সিং) এবং একজন কমিউনিষ্ট সদস্য ছিলেন।
    মুসলমানদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লিখিত মিঃ এ.কে. ফজলুল হক, মিঃ মহাম্মদ আলি (রাজস্ব মন্ত্রী), মিঃ নুরুল আমিন (স্পিকার), মিঃ আহম্মদ হোসেন (কৃষি মন্ত্রী), মিঃ সামসুদ্দীন আহম্মদ (শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী) অন্যতম।
    পশিমবঙ্গ ব্লকের দুইটি হিন্দু আসন, যথাক্রমে কলিকাতা পূর্ব (সাধারণ) এবং জলপাইগুড়ি- শিলিগুড়ি সাধারণ (তফশিলী আসন দুটিকে ভোট থেকে বিরত রাখা হয়। তাছাড়া, বাখরগঞ্জ দক্ষিণ- পশ্চিম সাধারণ ( তফশিলী) আসনটিকেও ভোট থেকে বিরত রাখা হয়।
বাখরগঞ্জ দক্ষিন- পশ্চিম সাধারণ তফশিলী আসনটির নির্বাচিত সদস্য আমাদের যোগেন্দ্রনাথ। যোগেন্দ্রনাথকে এই ভোটাভোটিকে অংশ গ্রহণে বিরত রাখার কারণ যোগেন্দ্রনাথ তখন অন্তর্বর্তী সরকারে আইনমন্ত্রী। সুতরাং ব্যবস্থা পরিষদের এই ভোটাভোটিতে তাঁর পক্ষে যোগদান করা আইনগত দিক থেকে বাধা ছিল। তে প্রামণ হয় ভারত তথা বাঙলা ভাগের ব্যাপারে যোগেন্দ্রনাথের কোনও মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
    কথায় বলে চোরের মার বড় গলা। যাদের ভোটে বাঙলা ভাগ হল, যার ফলে উভয় বাঙলার বিপুল সংখ্যক লোক তাদের পৈতৃক বাসস্থান হতে উৎখাত হলেন, স্বাধীন দেশে যারা পরিচিত হলে উদ্বাস্তু বলে, আজ তাদের ভাগ্য নিয়ে সারা রাজনৈতিক ফয়দা তুলছেন, সেই সকল স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক নেতা ও সমর্থকদের সঙ্গে সমসুরে সুর মিলিয়ে যোগেন্দ্রনাথের স্ব-জাতীয় কতিপয় স্বার্থান্বেষী উচ্চস্বরে চিৎকার করেন- বাঙলা ভাগের জন্য প্রধানত যোগেন্দ্রনাথই দায়ী। সরল প্রাণ বাঙালি এদের ক্ষমা করলেও ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না।
(তথ্য সংগ্রহ- মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ৩য় খন্ড পৃঃ ১৪৭-১৫০ লেখক – জগদীশ চন্দ্র মন্ডল )
----------------







Read More