গীতা কি বৌদ্ধধম্মের পূর্বে কার?
(ক) ভগবদ্গীতা ব্রহ্ম-নির্বান বিষয়ে আলোচনা করেছে (ম্যাক্সমূলার
মহাপরি-নির্বান সুত্ত, পৃঃ ৬৩) অর্থাৎ ব্রহ্মলাভ করার পথ। ভগবদ্গীতা
বলেছে নির্বান লাভ করার উপায়-(১) শ্রদ্ধা অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস, (২) ব্যবসায় অর্থাৎ স্থিরপ্রতিজ্ঞ, (৩) স্মৃতি অর্থাৎ
অদ্ভীষ্টস্মরণ, (৪) সমাধি অর্থাৎ একান্তধ্যান, এবং (৫) প্রজ্ঞা অর্থাৎ অধ্যাত্মিক বা খাঁটি জ্ঞান। এই “নির্বাণ” মতবাদ
গীতা কোথা থেকে ধার করেছে? নিশ্চয়ই
তা উপনিষদ থেকে ধার করা হয় নাই। কারণ উপনিষদে কোথাও নির্বান শব্দটির উল্লেখ করে
নাই। সমস্ত ধারণাটি বৌদ্ধদের এবং বৌদ্ধধম্ম হতে তা ধারপ্রাপ্ত। এ বিষয়ে যদি কারো
কোন সন্দেহ থাকে তবে ভগবদ্গীতার এই ব্রহ্মনির্বানের সঙ্গে ‘মহাপরিনিব্বান
সুত্তে’ সংকলিত নির্বাণ সম্পর্কে বৌদ্ধদের ধারণার সহিত তুলনা করতে
পারেন। দেখা যাবে যে সেগুলি একই। ঘটনা এই নয় কি যে গীতা নির্বাণের
পরিবর্তে-ব্রহ্ম-নির্বাণদের সম্পূর্ণ ধারণাটি ধার করেছে? এটা বৌদ্ধ ধম্ম থেকে চুরি করার অপবাদ মোচন ভিন্ন অন্য কোন কারণে নয়।
(তথ্যসূত্রঃ ভগবদ্গীতা
সম্পর্কে প্রবন্ধঃ প্রতিবিপ্লবের দার্শনিক ব্যাখ্যা- ডঃ আম্বেদকর।আম্বদেকর
রচনাবলী ৬ষ্ঠ খন্ড। কৃষ্ণ
এবং তার গীতা)
0 comments:
Post a Comment